Friday, March 25, 2011
এতোটা ভালোবাসি - রিকল
আমি চাঁদের আলো হয়ে
তোমার কালো ঘরে জেগে রই সারা নিশি, হুম্মম্মম
এতোটা ভালোবাসি ।
একি অপরূপ সুন্দর তার স্বপ্নে বর্ষা রাতে
আমি ভিজে ভিজে গড়ি মিছে
অদ্ভুত প্রভাতে দেখি ভীষণ অন্ধকার মাঝে
আলো-ছায়ায় তার নুপূর বাজে
আমি যে ভেবে ভেবে শিহরিত ।
আমি সূর্যের আলো হয়ে তোমার চলার পথে
ছায়া হয়ে তোমায় দেখি, হুম্মম্মম
এতোটা ভালোবাসি ।
উৎসবের উৎসাহে - আর্টসেল
আমার শরীর ডুবে আছে অবিরাম মৃত উষ্ণতায়
তুমি যে রোদ মাখবে বলে মেতে উঠেছো রঙের উৎসবে
আমার বিষাদ ছায়া হয়ে ঢেকে দেয় তোমায়
জানবে আমি শুধু আমি নই, আমি মানে অন্য কেউ কিংবা প্রতিবিম্ব
তোমাতে মিলিয়ে আমারসব সুর তোমারই সঙ্গপনে ।
তোমারই অন্ধকারে যে শব্দ বয়ে চলে, এসো কান পেতে রই নিরবে
মনেরই ইন্দ্রজাল জুড়ে যে স্বপ্ন খেলা করে, নেব সেই সীমানায় তোমাকে
যত দুর চলে গেলে দুরত্ব ঘোচাবে, নিভে যাওয়া মানুষ জ্বলবে আলো হয়ে
সেইখানে তোমাকে জানাবো গোপনে, স্বপ্ন মানে পাশে থাকা
সময়ের হাত ধরে নতুন স্মৃতি নিয়ে, আমি থাকব পথ চেয়ে ছদ্মবেশে ।
আবার এসে দাড়ালে একা, দেখবে আমার চোখে সম্ভাবনা
জীবন জুড়ে থাকে পরাজয়, হয়েছে ম্লান চিরকাল
জানবে তুমি ভোর হওয়া চোখে, যে অবিরাম স্বপ্ন দেখেছ
আমি সেই বাস্তবতা, কিংবা মলিন সান্তনা ।
আমাদের অভিধানে মিথ্যের হয় অনুবাদ
অবসাদ আশ্রয় খুঁজে, মানুষের অন্ধকার ঘরে
প্রতিবাদ প্রতিরোধ ভুলে, আনমনে মেনে নেয় পরাজয়
তখন ভাঙ্গতে হবে ঘোর, হাতে রেখে হাত
হেরে যাওয়াকে বন্দি করে রেখে
জাগতে হবে রাত, আলো জ্বেলে রেখে
উৎসবের উৎসাহে ।
বিস্তীর্ন উজানে একলা হয়ে গেলে
চিনিয়ে নেব পথ চিহ্ন একে একে
পিছু ফিরে পাফিরতে যদি হয় পাড়ি দেব পথ নিমিষে।
এই বিদায়ে - আর্টসেল
নীরব চেয়ে থাকা চোখের আলো ঘিরে থাকবে যেন তোমাকে
যা কিছু ছিল থেমে থাকা আবার থামবে এই বিদায়ে
আমার অপার সীমানাতে তোমার চিহ্ন তবু রবে বেঁচে ।
নিয়ত স্মরনের বেড়া জালে অধীর অপেক্ষার শেষে
প্রয়াত আগামীর স্মৃতি জুড়ে বিদায় আসবে অবশেষে
তোমারি শব্দ শুনে নির্জনে ধূসর ধুল জমা সময়ে
নিহত স্বপ্নুগুলো সহসা আলো জ্বেলে হারিয়ে যাও যতদুরে আসবে তবু ফিরে
আমার অজানায়-
অবিরত মলিন ক্ষত মুছে ফেলে চিরতরে
তোমার অসাড় থেমে থাকার, প্রয়াত আগমনে।
তোমাকে - ওয়ারফেজ
যেতে চাইলে যাও চলে যাও
তবু কেন এ কান্না
জানি ভাল থাকতে
শুধু বলোনা ভুলতে
চাই না বাঁচার উপদেশ
দিন এমনই কাটবে, খেয়ালের ফাঁদে
তোমাকে মনে পড়বে
যখনই জোছনা হাসে
তোমাকে মনে পড়বে
যখনই আকাশ ভেঙ্গে বর্ষা কাদে ।
যেই মোহের বন্যায় ভেষে যাওয়ায় ধন্য হলে
তাতে পারিনি ভাষতে, অস্তিত্ব ভুলে, ভুলে
তাই বলোনা চলতে, স্থবিরতাই সঙ্গী হলে
মন পড়ে থাকলে হতাশার খাদে ।
যে যায়, যাওয়ার পথে দেয়াল হবার কোন স্বপ্ন নেই
যতই কাদাও আমায়, চলি একা পথে ।
অবাক ভালোবাসা - ওয়ারফেজ
সব শব্দ থেমে যাক নিস্তব্ধতায়, শুধু জেগে থাক এই সাগর
আমার পাশে ।
সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়, হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে
হৃদয় গভীরে অবাক দৃষ্টিতে থমকে দাড়িয়েছে মহাকাল এখানে ।
শুভ্র বালুর সৈকতে, এলোমেলো বাতাসে গিটার হাতে
নিস্তব্ধতা চৌচির, উন্মাদ ঝংকারে কাঁদি অবাক সুখের কান্না
যেন চুনি হিরা পান্না
সাগরের বুকে আলপনা এঁকে দিয়ে যায়
অবাক ভালোবাসায়, অবাক ভালোবাসায় ।
সব আলো নিভে যাক আঁধারে, শুধু জেগে থাক ঐ দুরের তারারা
সব শব্দ থেমে যাক নিস্তব্ধতায়, শুধু জেগে থাক এই সাগর
আমার পাশে ।
সব কষ্ট বয়ে যাক সুখের ঝড়, হৃদয় ভরে যাক সহজ নীল স্বপনে
হৃদয় গভীরে অবাক দৃষ্টিতে, থমকে দাড়িয়েছে মহাকাল এখানে ।
শুভ্র বালুর সৈকতে, এলোমেলো বাতাসে গিটার হাতে
নিস্তব্ধতা চৌচির, উন্মাদ ঝংকারে কাঁদি অবাক সুখের কান্না
যেন চুনি হিরা পান্না
সাগরের বুকে আলপনা এঁকে দিয়ে যায়
অবাক ভালোবাসায়, অবাক ভালোবাসায় ।
Tuesday, March 22, 2011
বাংলাদেশ - জেমস
আছো সরোয়ার্দী,শেরেবাংলা, ভাসানীর শেষ ইচ্ছায়
তুমি বঙ্গবন্ধুর রক্তে আগুনে জ্বলা জ্বালাময়ী সে ভাষন
তুমি ধানের শীষে মিশে থাকা শহীদ জিয়ার স্বপন,
তুমি ছেলে হারা মা জাহানারা ঈমামের একাত্তরের দিনগুলি
তুমি জসীম উদ্দিনের নকশী কাথার মাঠ, মুঠো মুঠো সোনার ধুলি,
তুমি তিরিশ কিংবা তার অধিক লাখো শহীদের প্রান
তুমি শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরীর, ভাই হারা একুশের গান,
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি,
জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো, তাই তোমায় ভালোবাসি।
আমার প্রানের বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি
প্রানের প্রিয় মা তোকে, বড় বেশী ভালোবাসি।
তুমি কবি নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা উন্নত মম্ শীর
তুমি রক্তের কালিতে লেখা নাম, সাত শ্রেষ্টবীর
তুমি সুরের পাখি আব্বাসের, দরদ ভরা সেই গান
তুমি আব্দুল আলীমের সর্ব্নাশা পদ্মা নদীর টান।
তুমি সুফিয়া কামালের কাব্য ভাষায় নারীর অধিকার
তুমি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের, শাণীত চুরির ধার
তুমি জয়নুল আবেদীন, এস এম সুলতানের রঙ তুলীর আছড়
শহীদুল্লা কায়সার, মুনীর চৌধুরীর নতুন দেখা সেই ভোর।
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি,
জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো, তাই তোমায় ভালোবাসি।
আমার প্রানের বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি
প্রানের প্রিয় মা তোকে, বড় বেশী ভালোবাসি।
তুমি মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর জলে ভেজায় কবিতায়
তুমি বাঙ্গালীর গর্ব, বাঙ্গালীর প্রেম প্রথম ও শেষ ছোঁয়ায়,
তুমি বঙ্গবন্ধুর রক্তে আগুনে জ্বলা জ্বালাময়ী সে ভাষন
তুমি ধানের শীষে মিশে থাকা শহীদ জিয়ার স্বপন
তুমি একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে বেজে উঠ সুমধুর,
তুমি রাগে অনুরাগে মুক্তি সংগ্রামের সোনা ঝরা সেই রোদ্দুর
তুমি প্রতিটি পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার, অভিমানের সংসার
তুমি ক্রন্দন, তুমি হাসি, তুমি জাগ্রত শহীদ মিনার
আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি,
জন্ম দিয়েছ তুমি মাগো, তাই তোমায় ভালোবাসি।
আমার প্রানের বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি
প্রানের প্রিয় মা তোকে, বড় বেশী ভালোবাসি।
তোমাদের মাঝে কি কেউ আছে বন্ধু আমার - জেমস
তোমাদের মাঝে কি কেউ আছে বন্ধু আমার
তোমাদের মাঝে কি কেউ আছে পথ ভোলা
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ জ্বালা
ওরে কে আছে মুক্ত জীবন নিয়ে ছন্নছাড়া-
আপনাকে ভালোবেসে আপনদেশে ঠিকানাহারা
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও শুনাবো গান আজ সারারাত
যদি বুঝতে না চাও এই বুকের ভেতর কতো যন্ত্রণা
যদি দেখতে না চাও এই ছলনার ভীড়ে হারানো প্রেম
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও শুনাবো গান আজ সারারাত
প্রিয়তমা হারা কেউ কি আছো
মা-হারা বাবা-হারা সন্তান-হারা কেউ কি আছো
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও শুনাবো গান আজ সারারাত
ঠিকানাবিহীন ঠিকানার খুঁজে-
যদি পেতে চাও ভালোবাসা এসো আমার কাছে
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও শুনাবো গান আজ সারারাত
দুঃখিনী দুঃখ করো না - জেমস
চেয়ে দেখ উঠেছে নতুন সূর্য
পথে পথে রাজপথে চেয়ে দেখ
রংয়ের খেলা
ঘরে বসে থেকে লাভ কী বলো
এসো চুল খুলে পথে নামি,
এসো উল্লাস করি
দুঃখিনী দুঃখ করো না,
দুঃখিনী দুঃখিনী
আঁধারের সিঁদ কেটে আলোতে এসো
চোখের বোরখা নামিয়ে দেখো জোছনার গালিচা
ঘর ছেড়ে তুমি বাইরে এসো
চেয়ে দেখো রংধনু,
চেয়ে দেখো সাতরং
দুঃখিনী দুঃখ করো না,
দুঃখিনী দুঃখিনী
মিছিলের ভিড় ঠেলে সামনে এসো
দুঃখের পৃষ্ঠা উল্টে দেখো স্বপ্নের বাগিচা
ঘরে বসে থেকে লাভ কী বলো
এসো হাতে হাত রাখি এসো গান করি
দুঃখিনী দুঃখ করো না,
দুঃখিনী দুঃখিনী
বাবা - জেমস
ছেলে আমার বড় হবে,
মাকে বলত সে কথা
হবে মানুষের মত মানুষ এক লেখা ইতিহাসের পাতায়
নিজ হাতে খেতে পারতাম না,
বাবা বলত ও খোকা যখন আমি থাকবনা,
কি করবি রে বোকা…
এতো রক্তের সাখে রক্তের টান স্বার্থের অনেক উর্ধ্বে হঠাৎ
অজানা ঝড়ে তোমায় হারালাম
মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল
বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা তোমার মত কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়
বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়॥
চশমাটা তেমনি আছে, আছে লাঠি ও পাঞ্জাবী তোমার
ইজিচেয়ারটাও আছে, নেই সেখানে অলস দেহ শুধু তোমার
আযানের ধ্বনি আজো শুনি, ভোরে ভাঙ্গাবেনা ঘুম তুমি জানি
শুধু শুনিনা তোমার সেই দরাজ কন্ঠে পড়া পবিত্র কোরআনের বানী…
বাবা কতদিন কতদিন দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা তোমার মত কোথায় খোকা ওরে বুকে আয়
বাবা কতরাত কতরাত দেখিনা তোমায়,
কেউ বলেনা মানিক কোথায় আমার ওরে বুকে আয়॥
পদ্ম পাতার জল (কবিতা) - জেমস
কবিতা, তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিও না
কবিতা, এই নিশাচর আমায় ভেবোনা সুখের মোহনা।
দেখবে আমাদের ভালবাসা হয়ে গেছে কখন যেন
পদ্ম পাতার জল।
বেদনা সিক্ত অশান্ত এই মন
খুঁজে ফেরে মেটায় প্রয়োজন
যতদূর জানে ব্যাকুল হৃদয়
নীল বিষের পেয়ালা মনের বাঁধন।
নয়ন গভীরে আঙিনায়
নিবিড়তার ছোঁয়ায় হৃদয় প্রতিমা
কোথায় হারালে বল পাবো তোমায়
বসন্তে মাতাল আমি এক অপূর্ণতায় ।
জেল থেকে বলছি - জেমস
কনডেম সেলের পাথর দেয়ালে
প্রতি নি:শ্বাসে মৃত্যুর দিন আমি গুনছি
শোনো... জেল থেকে আমি বলছি ।।
কতদিন আকাশ দেখিনা আমি
বদ্ধ্বভূমির এই সেল টা আমার স্মৃতির স্বপন হারাবার
তাই শেষ ক' টি দিন
বাতাসকে চুপি চুপি বলছি
শোনো জেল থেকে আমি বলছি ।।
জীবনের এই ক্ষনে ইচ্ছেগুলো
ডানা মেলে হয়ে গেছে অন্ধ
অবুঝ মনটা শুধু চায় যে নিতে
তোমার চুলের মৃদু গন্ধ
তোমার এই মুখ খানি বুকে ধরে
জীবন মৃত্যুর মাঝে দুলছি
শোনো... জেল থেকে আমি বলছি ।।
চাঁদ তারা সূর্য নও তুমি - মাইলস্
নও পাহাড়ী ঝর্না
যদি বলি ফুল তবুও হবে ভুল
তোমার তুলনা হয়না
তুমি না এলে এই পৃথিবী আমার
হারাবে আপন ঠিকানা
যদি দূরে যাও স্বপ্ন গুলো আমার
ভেঙ্গে যাবে জানো না
তোমার কথা ভেবে ভেবে
আমি গল্প কবিতা আর কাব্য লিখি
তোমার চোখে চেয়ে থেকে
সুন্দর আমার পৃথিবী দেখি
জীবন চলার পথে জানি
তুমি প্রথম দিয়েছ দেখা
ভুল বুঝে কোনোদিন
আমায় তুমি করোনা একা
Monday, March 21, 2011
ভাবছি বসে - অর্থহীন
জোছনাটা উঠলে পরে গান গাবো না যখন তখন
বুকের মাঝে জাপটে ধরে থাকা আমার সুরগুলো
বের না হয়ে ক্ষান্ত হবে, বলবে তুমি কোথায় গেল।
ভাবতে কেমন অবাক লাগে নেই আমি আর আগের মতন
দেখবে না আর তুমি আমায় গানের আসর জমবে যখন
সুরের খাতায় লিখবো না আর আমার মনের দুঃখ সুখ
আমার সব গানগুলো গাইবে হয়তো অন্য মুখ।
গাইবো শুধু গান আমি মনের ভেতর অন্তরালে
বুকের মাঝের সুরগুলোয় যদি একটু কান্তি কমে
গাইবো শুধু গান আমি যখন তুমি ঘুমিয়ে রবে
ভাববে হয়তো শুনেছো আমার এ গান স্বপনে।
ভাবতে কেমন অবাক লাগে নেই আমি আর আগের মতন
গানের খাতায় জমবে ধুলো, সবকিছু যে অন্যরকম
নতুন কথা নতুন গান অবহেলায় ওলটপালট
মধ্যরাতের কফির কাপে ছুটবে না আর শব্দজট।
ভাবতে কেমন অবাক লাগে নেই আমি আর আগের মতন
অ্যাকোস্টিকের ছয়টি তারে বসবে না আর আমার এ মন
হবে আমার প্রতিদিনই নতুন নতুন মনের অসুখ
নিজেকে আর চিনবো না যে দেখবো যখন আয়নায় মুখ।
তবুও আমি স্বপ্ন দেখি যখন ঘরে রাত্রি নামে
আসবো ফিরে তোমার কাছে আবার আমি নতুন গানে
ভাবছি বসে . . .
হুঙ্কারের অপেক্ষায় - আর্টসেল
জেগে আছে কোটি চোখ
থমকে আছে চারপাশ
করতালির অপেক্ষায়
এই সময় সেই সময়
চেতনার এই ক্ষণে
আকাশ বাতাস জেনে গেছে
হুঙ্কারের অপেক্ষায়!
আমার শিরায় জ্বলে আগুন
রুদ্ধশ্বাসে পুড়তে চাই
আমার চোখে ঝড়ো মিছিল
স্লোগানে বদ্ধ উপমায়।
দীর্ঘ যুগের জমানো সাধ
জমে আছে আমারি গায়
আমার স্বত্তা চিৎকার করে
জাগবে সারা বিশ্বময়।
জ্বেলে দাও জ্বেলে দাও
আলোর ছটা…
জ্বেলে দাও জ্বেলে দাও জ্বেলে দাও…
চেয়ে আছে পৃথিবী
জেগে আছে কোটি চোখ
থমকে আছে চারপাশ
করতালির অপেক্ষায়
এই সময় সেই সময়
চেতনার এই ক্ষণে
আকাশ বাতাস জেনে গেছে
হুঙ্কারের অপেক্ষায়!
উড়ে যাক দমকা হাওয়ায়
দুঃখ ক্ষরা যন্ত্রণা
জেগে উঠুক আমার দেশ
লাল সবুজের পতাকায়…
চমকে উঠুক পৃথিবী আজ
চমকে উঠুক স্বপ্নরা…
জ্বেলে দাও জ্বেলে দাও
আলোর ছটা…
জ্বেলে দাও জ্বেলে দাও জ্বেলে দাও…
চেয়ে আছে পৃথিবী
জেগে আছে কোটি চোখ
থমকে আছে চারপাশ
করতালির অপেক্ষায়
এই সময় সেই সময়
চেতনার এই ক্ষণে
আকাশ বাতাস জেনে গেছে
হুঙ্কারের অপেক্ষায়!
পরাজয়ের ভুল গ্লানিতে
অনেক সময় খুড়েছি
আমার দিকে নির্দেশ করে
অনেক কথাই শুনেছি
আমার দেশে আমার মানুষ
থেমে যেতে আসেনি
সূর্য যখন হাতের মুঠোয়
তোমরা কি তা দেখোনি?
চেয়ে আছে পৃথিবী
জেগে আছে কোটি চোখ
থমকে আছে চারপাশ
করতালির অপেক্ষায়
এই সময় সেই সময়
চেতনার এই ক্ষণে
আকাশ বাতাস জেনে গেছে
হুঙ্কারের অপেক্ষায়…
ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে - রবীন্দ্র সংগীত
তটিণী-র হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায় ।
পিক কি'বা কুঞ্জে কুঞ্জে ।।
কুউহু কুউহু কুউহু গায়,
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায় ।
ফুলে ফুলে ঢ'লে ঢ'লে বহে কি'বা মৃদু বায় ।।
তটিণী-র হিল্লোল তুলে কল্লোলে চলিয়া যায় ।
পিক কি'বা কুঞ্জে কুঞ্জে ।।
কুউহু কুউহু কুউহু গায়,
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়।
অনিকেত প্রান্তর - আর্টসেল
যতো ছেড়া রং, ধুয়ে যাওয়া মানুষ
পেশাদার প্রতিহিংসা তোমার চেতনার
যতো উদ্ভাসিত আলো রং
আকাশের মতন অকস্মাত নীল
নীলে ডুবে থাকা তোমার প্রিয় কোন মুখ
তার চোখের কাছাকাছি এসে কেন পথ ভেঙ্গে
দুটো মানচিত্র এঁকে দুটো দেশের মাঝে
বিঁধে আছে অনুভুতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ
তবু এইখানে আছে অবলীল হাওয়া
জানালা বদ্ধ ঘরে আসে যায়
দেয়াল ধরে বেড়ে ওঠে মধ্যরাত
তোমার ছায়ায় জমে এসে ভয়
আলোকে চিনে নেয় আমার অবাধ্য সাহস
ভেতরে এখন কি নেই কাপুরুষ অন্ধকার একা
তোমাকে ঘিরে পথগুলো সব সরে যায়
রাত্রির এই একা ঘর ঝুলে আছে শূন্যের কাঁটাতারে
দুটো মানচিত্র এঁকে দুটো দেশের মাঝে
মিশে আছে অনুভুতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ
তবু এই দুটি কাঁটাতারে, শহরের মতো করে
ভিড়ে ভরে গেছে ঘুম আমার
অচেতন কখন বেওয়ারিশ, মাটির কাছে এসে
সময়কে এপিটাফ ভেবে হাঁটু গেড়ে বসে
তবু এখানে বাতাস আসে দূরত্বের উৎসাহে
শরৎ জমে আছে ঠান্ডা ঘাসে
তোমার চোখের মাঝে দূরের একা পথ
এখানে ভাঙ্গে না দুটো দেশে
মেঘের দূরপথ ভেঙ্গে বুকের গভীর অন্ধকারে
আলোর নির্বাসন স্মৃতির মতো
অবিকল স্বপ্নঘর বাঁধা স্মৃতির অন্ধ নির্জনে
সময় থেমে থাকে অনাগত
যুদ্ধের বিপরীতে
এখানে স্বরনীর লেখা নেই নাম, কোন শহীদ সড়কে
তোমার জন্য জমা থাকে শুধু স্বপ্নঘর
জানালায় ঝুলে থাকে না, শূন্যতার অবচেতন
তোমার ঘরের অন্ধ আলোয় অদেখা
এখানে নির্জন
অনিকেত প্রান্তর
তবু তোমার ভাঙ্গা স্মৃতি, ছেঁড়া স্বপ্ন, দোমড়ানো খেলাঘর
ছেঁড়া আকাশ ভাঙ্গা কাঁচে
আলো আর অন্ধকার তোমার
তোমার দেয়ালে কত লেখা, মানুষের দেয়ালে দেয়াল
বেড়ে ওঠে কাঁটাতার, এখানে মহান মানচিত্রের ভাগাড়
তোমার শূন্য ঘরে ভরা স্মৃতি
জড়ো পাথরে লেখা নাম
শহীদ স্বরনী, জানালার বাইরে
ভেসে গেছে দূরের আকাশ
বিঁধে আছি সময়ের কাঁটাতারে
বিঁধে আছো ছেঁড়া আকাশের মতো তুমি
তোমার স্বপ্নের, দলাপাকানো
বাসি কবিতা, নষ্ট গানে
তোমার জানালার বাইরে শূন্য আকাশ
তবু অনিকেত এই প্রান্তরে
এখানে এখনো শরতের প্রচুর বাতাসে
সবুজের ঘ্রানে
ভরে আছে অন্ধকারে ঘর তোমার
দেয়ালে এখন শুধু মৃত্যুর মৃত রেখাপাত
তোমাকে কড়া নাড়ে স্মৃতিরা ভাঙ্গা স্বপ্ন
ঘুমের মতো নেশাময় কত
কত শিশু কত
আলোর মশাল নিভে গেছে
নিভে গেছে কত অচেনা ভয়
তোমাকে এখন অপরিণত এক অচেনা স্মৃতি মনে হয়
তোমার জানালার বাইরে শূন্যে
দূরের স্বপ্নঘর, ঝুলে আছি নির্জনতায়
মৃত্যু কি অনিকেত প্রান্তর ?
অভিমান - ব্ল্যাক
(তা হলে) ঘুম পেলে ক্ষতি কি?
তোমার চোখে গভীর বিশ্বাস
হারালে ক্ষতি কি?
কেবলি অভিমানের রাত
তবে কেন প্রতীক্ষা?
ক্ষয়া চোখে ভুলের বিন্যাস
নিভু স্বপ্নের বাতিটা।
আমাকে তুমি জাগিয়ে একা কেন ঘুমালে?
আমাকে এড়িয়ে তোমার আকাশে কবে ফুল ঝরেছে বল।
তোমার চারুগৃহ কেন যে খুলে যায়?
দেওয়ালে মাথা কোটে ধূসর আঁধার
দুচোখ অন্ধের উপড়ে ফেল তুমি
মাতাল ভাঁড় হোক সঙ্গী তার।
আমাকে তুমি জাগিয়ে একা কেন ঘুমালে
আমাকে এড়িয়ে তোমার আকাশে কবে ফুল ঝরেছে।
আমার পৃথিবী - ব্ল্যাক
মৃতসব গাছের নিচে আগুন জ্বলবে।
বুকের ভিতরে নদী; কুয়াশা কুয়াশা ...
পাথরের ওপর বসে দেখছি এসবি।
তাকিয়ে আছে মৃত্যুর এপারে
জীবনের সুতীব্র উল্লাস দেখি আমি
সাদা রৌদ্রে ভাসছে সবি।
পায়ে পায়ে ফিরে আসি আবার
নিভৃতে বুনি দুঃখের গান।
অনন্ত আগুনে পোড়ে অনিদ্র চোখ।
আমার বিবেক পোড়ে সূর্যের নিচে।
বেঁচে থাকার গান - রূপম ইসলাম / সপ্তর্ষি মুখার্জী
যদি কেড়ে নিতে বলে কবিতা ঠাসা খাতা
জেনো কেড়ে নিতে দেবোনা
যদি ছেড়ে যেতে বলে শহুরে কথকতা
জেনো আমি ছাড়তে দেবোনা
আর আমি জানি চোরাবালি কতখানি গিলেছে আমাদের রোজ
আর আমি জানি প্রতি রাতে হয়রানি , হারানো শব্দের খোঁজ
আর এভাবেই নরম বালিশে, তোমার ওই চোখের নালিশে
বেঁচে থাক রাত পরীদের স্নান
ঠোঁটে নিয়ে বেঁচে থাকার গান
আর এভাবেই মুখের চাদরে, পরিচিত হাতের আদরে
বেঁচে থাক রাতে পরীদের স্নান
ঠোঁটে নিয়ে বাঁচিয়ে রাখার গান
যদি নিমেষে হারালে জীবনে পরিপাটি
তবু হেরে যেতে দেবোনা
যদি বেচে দিতে বলে শিকড়ে বাধা মাটি
জেনো আমি বেচতে দেবোনা
আর আমি জানি চোরাবালি কতখানি গিলেছে আমাদের রোজ
আর আমি জানি প্রতি রাতে হয়রানি , হারানো শব্দের খোঁজ
আর এভাবেই নরম বালিশে, তোমার ওই চোখের নালিশে
বেঁচে থাক রাত পরীদের স্নান
ঠোঁটে নিয়ে বেঁচে থাকার গান
আর এভাবেই মুখের চাদরে, পরিচিত হাতের আদরে
বেঁচে থাক রাতে পরীদের স্নান
ঠোঁটে নিয়ে বাঁচিয়ে রাখার গান…..
গানের কথা : অনুপম রায়
গায়ক : রূপম ইসলাম / সপ্তর্ষি মুখার্জী
আমাকে আমার মতো থাকতে দাও - অনুপম রয়
আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি।
আমাকে আমার মতো থাকতে দাও,
আমি নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছি।
যেটা ছিলনা ছিলনা সেটা না পাওয়াই ভাল,
সব পেলে নষ্ট জীবন।
তোমার এই দুনিয়ার ঝাপসা আলো,
কিছু সন্ধ্যের গুড়ো হওয়া কাচের মতো।
যদি উড়ে যেতে চাও তবে গা ভাসিয়ে দাও,
দূরবীণে চোখ রাখবো না না না (না না না না না না না)।
এই জাহাজ মাস্তুল ছাড়খার,
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার।
আমি রাখতে চাইনা আর তার,
কোন রাত-দূপুরের আবদার।
তাই চেষ্টা করছি বারবার,
সাতরে পাড় খোজার।
কখনো আকাশ বেয়ে চুপ করে,
যদি নেমে আসে ভালবাসা খুব ভোরে।
চোখ ভাঙ্গা ঘুমে তুমি খুজোনা আমায়,
আশেপাশে আমি আর নেই।
আমার জন্য আলো জ্বেলোনা কেউ,
আমি মানুষের সমুদ্রে গুনেছি ঢেউ।
এই স্টেশনের চত্বরে হারিয়ে গেছি,
শেষ ট্রেনে ঘরে ফিরবো না না না (না না না না না না না)।
এই জাহাজ মাস্তুল ছাড়খাড়,
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার।
আমি রাখতে চাইনা আর তার,
কোন রাত-দূপুরের আবদার।
তাই চেষ্টা করছি বারবার,
সাতরে পাড় খোজার।
(না না না না না না না না না না না না না না না, না না না না না না না না না না না না না না না)
তোমার রক্তে আছে স্বপ্ন যতো,
তারা ছুটছে রাত্রি-দিন নিজের মতো।
কখনো সময় পেলে একটু ভেবো,
আঙুলের ফাকে আমি কই;
হিসেবের ভিড়ে আমি চাইনা ছুঁতে,
যত শুকনো পেয়াজ কলি, ফ্রিজের শীতে;
আমি ওবেলার ডাল-ভাত ফুরিয়ে গিয়েছি,
বিলাসের জলে ভাসব না না না।
এই জাহাজ মাস্তুল ছাড়খাড়,
তবু গল্প লিখছি বাঁচবার।
আমি রাখতে চাইনা আর তার,
কোন রাত-দূপুরের আবদার।
তাই চেষ্টা করছি বারবার,
সাতরে পাড় খোজার।
(না না না না না না না না না না না না না না না, না না না না না না না না না না না না না না না)
গুটি - অর্থহীন
ব্যবধান - ATR
সবাই একসাথে হাসতে কি পারেনা?
কেন কারো চোখে আজ কান্না?
হাসি তুমি কি দেখতে চাওনা?
এ তোমার কি সৃষ্টি বলনা..
কেউ অন্ন পদদলিত করে
আর কেউ দেখ দু হাত পেতে ধরে
তাই দেখে মোর চোখের জল ঝরে
শ্রেণীবৈষম্যের কথা মনে পড়ে,
এ তোমার কি দৃষ্টি দেখনা?
"তুমি শক্তিময়,তুমি মহান,শোন,
আমার এ প্রার্থনা (কোরাস)
আমাদের এই ব্যবধান
নিষ্ঠুর এই ব্যবধান..."
কেউ কাপড়ের প্রতিযোগিতা করে
আর কেউ এক কাপড়ে বছর ধরে
শুধু দেহটা ঢেকে রাখার তরে
এত ব্যবধান আমাদের সংসারে
এ তোমার কি সৃষ্টি বলনা..
শীতাতপ আজ শহরে নগরে ঘরে,
তবে কেন ওরা এভাবে শীতে মরে?
এই প্রশ্নের জবাব কি আছে তোমার?
এই স্পর্ধা ক্ষমা কর আমার
এ তোমার কি দৃষ্টি দেখনা?
আর কত শিশু ক্ষুধা মেটানোর তরে
শ্রম দিয়ে যায় সারাটা দিন ধরে
শিশুরাও কি ওই বিভাজনে পরে?
আমাদের এই ছোট্ট খেলাঘরে
আর কতদিন চলতে এভাবে পারে?
নেই বুঝি ওদের কোন অধিকার?
এই ছিলো মোর আর্তচিৎকার
এ তোমার কি দৃষ্টি দেখোনা....
আমি শুনেছি সেদিন তুমি - মৌসুমী ভৌমিক
আমি শুনেছি সেদিন তুমি”
আমি শুনেছি সেদিন তুমি সাগরের ঢেউ-এ চেপে
নীলজল দীগন্ত ছুঁয়ে এসেছ,
আমি শুনেছি সেদিন তুমি নোনাবালি তীর ধরে
বহুদূর বহুদূর হেঁটে এসেছ|
আমি কখনও যাইনি জলে,
কখনও ভাসিনি নীলে,
কখনও রাখিনি চোখ,
ডানামেলা গাঙচিলে|
আবার যেদিন তুমি সমুদ্রস্নানে যাবে
আমাকেও সাথে নিও,
নেবে তো আমায় ?
বল, নেবে তো আমায় !
আমি শুনেছি সেদিন নাকি তুমি তুমি তুমি মিলে
তোমরা সদলবলে সভা করেছিলে,
আর সেদিন তোমরা নাকি অনেক জটিল ধাঁধাঁ
না-বলা অনেক কথা, কথা তুলেছিলে :
কেন শুধু ছুটে ছুটে চলা
একই একই কথা বলা
নিজের জন্য বাঁচা নিজেকে নিয়ে ?
যদি ভালবাসা না-ই থাকে
শুধু একা একা লাগে
কোথায় শান্তি পাব, কোথায় গিয়ে ?
বল, কোথায় গিয়ে ?
আমি শুনেছি তোমরা নাকি এখনও স্বপ্ন দ্যাখো,
এখনও গল্প লেখো, গান গাও প্রাণ ভরে,
মানুষের বাঁচা মরা এখনও ভাবিয়ে তোলে,
তোমাদের ভালবাসা এখনো গোলাপে ফোটে|
আস্থা-হারানো এই মন নিয়ে আমি আজ
তোমাদের কাছে এসে দুহাত পেতেছি,
আমি দু’চোখের গহ্বরে শূণ্যতা দেখি শুধু
রাতঘুমে আমি কোনো স্বপ্ন দেখিনা,
তাই স্বপ্ন দেখবো বলে
আমি দু’চোখ পেতেছি|
তাই তোমাদের কাছে এসে
আমি দু’হাত পেতেছি|
তাই স্বপ্ন দেখবো বলে
আমি দু’চোখ পেতেছি|
হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ - অঞ্জন দত্ত
ওরা নিভিয়ে দিচ্ছে আেলা, ধুয়ে ফেলছে গেলাস
আবার সেই সস্তার হোটেল...........
আজ অনেক কিছুই বলতে চাইছি তোমায়......বসে এই সুদূর আমেিরকায়
রোজকার সেই একঘেয়ে মিথ্যে কথা নয়.......মনের ভেতর থেকে .......
ইচ্ছে করছে জানতে .......কঁাদছে কি মন; কী করছে আমার কলকাতা এখন
কিন্তু ন্যাপকিনটা বড়ই ছোট ভেতরটা নীল...আর pen এর কালি ফুরিয়ে গেছে.....
বাইরে.....বড়ই ধোয়াশায় ভেজা.....ভেজা আমার ছেড়া জুতার শুকতলাটা.....
আর পকেটেও মাত্র ডলার ছ' টা.....শেষ হুইস্কিটাও ফুরিয়ে গেছে..
আমি জানি আমি লোকটা সুবিধের নই; সব ছেড়েছুড়ে বেড়াই ঘুরে বিদেশ-বিভুই...
তবু ন্যাপকিনটা আজ আমি পোস্ট করবই_ নেশা কেটে যাওয়ার আগে.......
ইচ্ছে ছিল লেখার তোমায় অনেক কথা...
বড়সড় মানেওয়ালঅ কবিতা....
কিন্তু ঘন্টাখানেক ধরে শুধু একটাই কথা লিখেছি.....
happy birthday to you............
রঞ্জনা - অঞ্জন দত্ত
বলেছে পাড়ার দাদারা
অন্যপাড়া দিয়ে যাচ্ছি তাই
রঞ্জনা আমি আর আসবো না ।।
ধর্ম আমার আমি নিজে বেছে নেইনি
পদবিতে ছিলো না যে হাত
মসজিদে যেতে হয় তাই জোর করে যাই
বচ্ছরে দু'একবার ।।
বাংলায় সত্তর পাই আমি এক্সামে
ভালো লাগে খেতে ভাত মাছ
গাঁজা-সিগারেট আমি কোনটাই ছুঁইনা
পারিনা চড়তে কোন গাছ
চশমাটা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি
দাদা আমি এখনো যে ইশকুলে পড়ি
কব্জির জোরে আমি পারবো না
পারবো না হতে আমি রোমিও
তাই দুপ্পুর বেলাতে ঘুমিও
আসতে হবে না আর বারান্দায়
রঞ্জনা আমি আর আসবো না ।।
বুঝবো কি করে আমি তোমার ঐ মেঝ দাদা
শুধু যে তোমার দাদা নয়
আরো কত দাদাগিরি কব্জির কারিগরি
করে তার দিন কেটে যায়।।
তাও যদি বলতাম হিন্দুর ছেলে আমি
নিলু বিলু কিম্বা নিতাই
মিথ্যে কথা আমি বলতে যে পারিনা
ভ্যাবা ভ্যাবা ভ্যাবাচ্যাকা খাই
সত্যিকারের প্রেম জানিনাতো কি সেটা
যাচ্ছে জমে হোম টাস্ক
লাগছে না ভালো আর মেট্রো-চ্যানেলটা
কান্না পাচ্ছে সারা রাত
হিন্দু কি জাপানী জানি না তো তুমি কি
জানে ঐ দাদাদের গ্যাং
সাইকেলটা আমি ছেড়ে দিতে রাজি আছি
পারবো না ছাড়তে এই ঠ্যাং
চশমাটা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি
দাদা আমি এখনো যে ইশকুলে পড়ি
কব্জির জোরে আমি পারবো না
পারবো না হতে আমি রোমিও
তাই দুপ্পুর বেলাতে ঘুমিও
আসতে হবে না আর বারান্দায়
রঞ্জনা আমি আর আসবো না ।।
স্বার্থপর – দ্য ট্র্যাপ
চলে যদি যাবি দূরে স্বার্থপর
আমাকে কেন জোছনা দেখালি
হবি যদি নাও ভাসিয়ে দেশান্তর
পাথরের বুকে ফুল কেন ফোটালি
আমারই সীমানায় সে তো তোর ছায়া
সেখানে করে বিচরণ দুঃখের নিবাস
রাখিস কি খবর
তোর আঘাতেই জমে গেছে
নীল আকাশের জমিনে নীল বেদনা।
চলে যদি যাবি দূরে স্বার্থপর
আমাকে কেন জোছনা দেখালি
জানি না কোন প্রহরে হয়েছিলো যে পরিচয়
কি পেলাম কি হারালাম সে তো এক সংশয়
নীরব এ আড়াল থেকে করেছি যে সব পরিণয়
সেই তুমি হারালে ঠিকই সেকি নয় বিষ্ময়
আমারই সীমানায় সে তো তোর ছায়া
সেখানে করে বিচরণ দুঃখের নিবাস
রাখিস কি খবর
তোর আঘাতেই জমে গেছে
নীল আকাশের জমিনে নীল বেদনা।
আঁধার এর অন্তরালে বসে যতবার ভেবেছি
শূণ্যতারই হাহকার একাকী শুনেছি
তোমারই আঁখি পটে আকাশের নীল দেখেছি
সে তো বিবর্ণ হবে কখনো ভাবিনি…
কথা, সুর: তরুণ, দ্য ট্র্যাপ।
প্যারিসের চিঠি (প্রিয় আকাশী) - জেমস
গতকাল ঠিক দুপুরে তোমার চিঠি পেয়েছি
খামের উপর নাম ঠিকানা পড়েই চিনতে পেরেছি তোমার হাতের লেখা;
ঠিকানা পেলে কিভাবে লেখনি;
কতদিন পর ঢাকার চিঠি ; তাও তোমার লেখা ,
ভাবতে পারো আমার অবস্থা !
গতকাল প্যারিসে ঝরেছিলো এ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা তুষাড়পাত
তামাক ফুরিয়ে গেছে আনতে পারিনি; এই প্রথম আমি
অনেকটা সময় নিয়ে ভুলেছিলাম তামাকের গন্ধ।
তোমার চিঠিতে পরিবর্তন
আর বদলে যাওয়ার সংবাদ;
তুমি কষ্ট পেয়ে লিখেছো - রাত্রির ঢাকা এখন
নিয়নের স্নিগ্ধতা ছেড়ে নিয়েছে
উৎকট সোডিয়ামের সজ্জা,
আমাদের প্রিয় রমনা রেস্তোরা এখন কালের সাক্ষী,
মিষ্টি কয়েন বক্সের জায়গা দখল করে নিয়েছে
ডিজিটাল কার্ড ফোন
শীতের বইমেলা পরিণত হয়েছে মিনাবাজারে,
টি এস সি'র চত্বর যেন উত্তপ্ত বৈরুত।
বদলে যাওয়া কষ্টের অপর নাম স্মৃতি
এখন তাই নিয়ে বুঝি মেতে আছো;
এই পরবাসে আমার চোখের সামনেও বদলে যেতে দেখলাম
কত সুদৃঢ় ইতিহাস-
বালির বাঁধের মতন ভেসে গেল বার্লিন প্রাচীর
ইংলিশ চ্যানেলের তল দিয়ে হুইসেল বাজিয়ে চলছে ট্রেন;
ইউরোপের মানচিত্র এখন রুটি হয়ে গেছে,
িক্ষদে পেলেই ছিড়েঁ ছিড়ে খাও, স্বাধীনতা মানেই যেন উদর পূর্তি
তুমি লিখেছ- "তোমাকে ভুলেগেছি কিনা?"
প্রিয় আকাশী আমি জেনে গেছি- পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ ভুলে
থাকা;
স্মৃতি থেকে পালিয়ে বাঁচার জন্য এই সুদীর্ঘ প্রবাসের
অর্ধেকটা কাটিয়েছি বোহেমিয়ানদের মত ঘুরে ঘুরে
মাদ্রিদ থেকে হামবুর্গ; নিউক্যাসল্ নেপালি থেকে প্রাগ বুখারেষ্ট মেসিডোনিয়া; নর্থ সি থেকে মেডিটেরিয়ান কিংবা ব্ল্যাক সি।
তবু বাঁচতে পারিনি স্মৃতি থেকে- ফ্রান্কফুটের বইমেলায়
নতুন বইয়ের গন্ধে মনে পড়েছে তোমাকে
ফ্লোরেন্সে- মিকেলাঞ্জেলোর 'ডেভিড'
রোমে -'পিয়েতা' আর সিসটাইন চ্যাপেলের- ' লাস্ট জাজমেন্টের মত '
মহান সৃষ্টির সামনে দাঁড়িয়ে
প্রথমেই মনে পড়েছে তোমাকে।
সিসিলির কার্ণিভেলে, এথেন্সের কফিশপের জমজমাট
কবিতা পাঠের আসরে মনে পড়েছে তোমাকে।
পালারমো-র সৈকতে কিন্বা ভিয়েনার তারাজ্বলা রাত্রির
আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে পড়েছে
তোমার প্রিয় কবির কবিতা-
Under the wide and starry sky
dig my Grave and let me lie
glad did I live and gladly die
And I laid me down with a will.
সুইজারল্যান্ডের লেকের কাছে স্বচ জলে
নিজের ছায়ার পাশে যাকে খুঁজেছি, সে তুমি;
ভাটিক্যানের প্রার্থনা সভা শেষে এক গ্রীক তরুণীকে
বাংলায় কি বলেছিলাম জানো?
বলেছিলাম- ' তুমি আমার আকাশী হবে?'
ভুলতে পারিনি তোমাকে , শত চেষ্ঠা করেও পারিনি
আর কেউ না জানুক অসংখ্য জিপসি রাত জানে
সেই না ভুলতে পারা ইতিহাস।
তুমি জানতে চেয়েছো প্যারিসের কথা-
সত্যি বলতে কি,
প্যারিস খুলে দিয়েছে আমার আত্নার চোখ
সংগীত আর শিল্পের অভিন্ন সুর আমি শুধু প্যারিসেই শুনেছি।
কনর্সাটে যতবার মোৎসার্ট কিংবা বিতোভেন শুনেছি
ততবারই কেন যেন চিরদুখী পাগল
ভিনসেন্ট ভ্যানগগের কথা মনে পড়েছে।
সমস্ত প্যারিসের রাস্তায় গ্যালারিতে ফেষ্টিভেলে খুঁজে ফিরেছি ভিনসেন্টের কষ্ট।
তোমার প্রিয় গায়ক জিম মরিসনের শেষ দিনগুলো কেটেছে
এই প্যারিসে। প্যারিসেই জিমের কবর।
অগনিত শিল্পীর কষ্ট থেকে প্যারিস পেয়েছে সৌন্দর্য,
কষ্টই প্যারিসের ঐশ্বর্য।
আমাদের সুবর্ন সময়ের স্বপ্নের প্যারিসে আজ
নিজেকে ভীষন একা মনে হয়
এলোমেলো পড়ে আছি শিল্প সাহিত্যের এই জাগযজ্ঞে
তীব্র শীতের জন্য শ্বাস কষ্ট ভোগায় মাঝে মাঝে
এইতো সেদিন আবারও বদলালাম চশমার কাঁচ
প্রতিনিয়ত হেরে যাচ্ছি ,সময়ের কাছে;
তুমি মনে রেখো পরিবর্তনের দমকা হাওয়ায়
আমি বদলাইনি এতটুকু।
বাইজেনটাইন সম্রাজ্ঞীর মত তোমাকে ঘিরে থাক্
পৃথিবীর সমস্ত সুখ
তুমি আন্দ্যি সুন্দরী হয়ে ওঠো তোমার সৃষ্টিতে।
তুমি ভালো থেকো।