Saturday, June 30, 2012

জলফড়িং - শিলাজিৎ মূর্খাজী (মুভিঃ হেমলক সোসাইটি)

তুই চিরদিন তোর দরজা খোলে থাকিস ,
অবাধ আনাগোনার হিসেব কেনো রাখিস ?
সাক্ষাত আলাদিন, তোর প্রদীপ ভরা জ্বীনে ,
কেনো খুঁজতে যাস আমায় সাজানো ম্যাগাজিন ? 
ভেজা রেলগাড়ি, হয়তো সবুজ ছুঁয়ে ফেলে ,
আর সারাটা পথ ভীষণ খামখেয়ালে চলে ।

তারপর বেরোয় মেঘের তারায় ভরা স্টেশন , 
একটু থামতে চায় প্রেমিকের inspiration !

তোর এই সকাল ঘুম কেড়ে নিতে পারি ,
তোর এই বিকেল ঘুড়ি ছিঁড়ে দিতে পারি ,
তোকে আলোর আলপিন দিতে পারি,
তোকে বসন্তের দিন দিতে পারি ,
আমাকে খুঁজে দে জলফড়িং! 

ছুঁড়ে ফেলে দে তোর গল্প বলা ঘড়ি , 
শুন্যে খুরোর কল সব মিথ্যে আহামরি ,
একটু শুনতে চাই , তোর পাজরভাঙ্গা চিৎকার ..
অন্য গানের সুর ,তোর অদ্ভুত এই অহংকার ।


তোর এই সকাল ঘুম কেড়ে নিতে পারি ,
তোর এই বিকেল ঘুঁড়ি ছিঁড়ে দিতে পারি ,
তোকে আলোর আলপিন দিতে পারি ,
তোকে বসন্তের দিন দিতে পারি,
আমাকে খুঁজে দে জলফড়িং ! 

Friday, June 15, 2012

এখন অনেক রাত – অনুপম রায় (মুভিঃ হেমলক সোসাইটি)


এখন অনেক রাত
তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস,
আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায়..

ছুঁয়ে দিলে হাত,
আমার বৃদ্ধ বুকে
তোমার মাথা চেঁপে ধরে
ডলছি কেমন নেশায়!

কেন যে অসংকোচে অন্ধ গানের কলি
পাখার ব্লেডের তালে সোজাসুজি কথা বলি!
আমি ভাবতে পারিনি, তুমি বুকের ভেতর
ফাঁটছো আমার শরীর জুড়ে তোমার প্রেমের বীজ!

আমি থামতে পারিনি, তোমার গালের নরম
দুঃখ আমায় দুহাত দিয়ে মুছতে দিও Please!

তোমার গানের সুর, আমার পকেট ভরা সত্য-মিথ্যা
রেখে দিলাম তোমার ব্যাগের নীলে,
জানি তর্কে বহুদূর,
তাও আমায় তুমি আঁকড়ে ধরো,
আমার ভেতর বাড়ছো তিলে তিলে

কেন যে অসংকোচে অন্ধ গানের কলি
পাখার ব্লেডের তালে সোজাসুজি কথা বলি!
আমি ভাবতে পারিনি, তুমি বুকের ভেতর
ফাঁটছো আমার শরীর জুড়ে তোমার প্রেমের বীজ!

আমি থামতে পারিনি, তোমার গালের নরম
দুঃখ আমায় দুহাত দিয়ে মুছতে দিও Please!

এখন অনেক রাত
তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস,
আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায়..

ছুঁয়ে দিলে হাত,
আমার বৃদ্ধ বুকে
তোমার মাথা চেঁপে ধরে
ডলছি কেমন নেশায়!

এখন অনেক রাত
তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস,
আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায়.. ভালোবাসায়..

Sunday, June 10, 2012

বিজলিবাতি – অনুপম রায়


আমার দিন ফুরালে বিজলি বাতি,
কলম খোঁচায় গল্প পাতি,
তোমার শব্দে মাতামাতি,
মেঝেয় পিঁপড়ের চড়ুইভাতি।।

১)       বাইরের ঘরে, আগুন গিলছে প্রাচীন ভুত,
প্রলাপ বকছে চীনের রাষ্ট্রদূত-
টিভির পর্দায় সব কিছুই প্রস্তুত।

আমার বইয়ের তাকে জমছে ধুলো,
পথ হারাচ্ছে শব্দগুলো,
হঠাৎ তোমার কপাল ছুঁলো,
নাড়লে কড়া দরজা খুলো।।

২)       হাল্কা পায়ে, ভাঙছে সিঁড়ি তোমার গান,
চামচ মাপছে চিনির পরিমান-
দেওয়ালে ঝুলছে আমার অভিমান।

Saturday, June 9, 2012

তিস্তান - অনুপম রায়


পাঁচ টাকা দিয়ে দিনের শুরু, ষোল টাকা দিয়ে শেষ
তিন টাকা দিয়ে মুক্তি কিনে হবো নিরুদ্দেশ।।

তখন কেন হাত বাড়ালে? এখন কেন চুপ?
তখন কেন জ্বাললে আলো? এখন কেন ধূপ?
আর এখন তুমি নিচ্ছো অন্যরূপ।।

আর এখন almost পাগল এ মন
বিষ পানে অভ্যস্ত এ জীবন
শূন্য দু’হাত, আবার চাইছে
ফিরিয়ে নিয়ে চলো..
তিস্তানে, তিস্তানে, তিস্তানে।।

মাসটা যখন ফুরিয়ে যাবে, ওরা দেবে অনেক টাকা;
তবু মাসের শেষে মনে হবে, ভেতরটা খুব ফাঁকা।

সময় যখন আটকে রাখবে সময় চলবেনা
যখন সময় অনেক দরকার সময় থাকবেনা
তখন সময় তোমার পাশে নেই

আর এখন almost পাগল এ মন
বিষ পানে অভ্যস্ত এ জীবন
শূন্য দু’হাত আবার চাইছে
ফিরিয়ে নিয়ে চলো..
তিস্তানে, তিস্তানে, তিস্তানে।।

যখন বলেছিলাম আমি চলে যাবো, তখন কেন কাঁদোনি?
একের পর এক ভুল করেছি, তবু কেন আটকাওনি?
যতক্ষণ তুমি জিতেছো, প্রত্যেকটা মানুষ তোমার সাথে
তুমি একবার হেরে যাও, আর কেউ নেই তোমার পাশে! 

Saturday, June 2, 2012

মায়াবন বিহারিণী - সোমলতা (মুভি: বেডরুম)

(২ বার)
মায়বন বিহারিনী হরিণী
গহন স্বপন সঞ্চারিনী

কেন তারে ধরিবারে করি পন
অকারণ
মায়াবন বিহারিনী

(২ বার)
থাক থাক নিজ মনে দূরেতে
আমি শুধু বাসরীর সুরেতে

পরশ করিব ওর তন মন
অকারণ
মায়াবন বিহারিনী

চমকিবে ফাগুনেরো পবনে
বসিবে আকাশবাণী শ্রবনে
চমকিবে ফাগুনেরো পবনে
চিত্ত আগুনে হবে অনুভব
অকারণ

(২ বার)
দূর হতে আমি তারে সাধিব
গোপনে বিরহডোরে বাধিব

বাধনবিহীন সেই যে বাধন
অকারণ
মায়াবন বিহারিনী

মায়বন বিহারিনী হরিণী
গহন স্বপন সঞ্চারিনী
কেন তারে ধরিবারে করি পন
অকারণ
(৬ বার)
মায়াবন বিহারিনী

Friday, June 1, 2012

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে - রবীন্দ্র সংগীত

যদি তোর       ডাক শুনে কেউ না আসে       তবে       একলা চলো রে।
একলা চলো,       একলা চলো,       একলা চলো,       একলা চলো রে॥
যদি       কেউ কথা না কয়,       ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি       সবাই থাকে মুখ ফিরায়ে       সবাই করে ভয়—
                   তবে        পরান খুলে
ও তুই       মুখ ফুটে তোর মনের কথা        একলা বলো রে॥
যদি        সবাই ফিরে যায়      , ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি        গহন পথে যাবার কালে কেউ ফিরে না চায়—
                   তবে        পথের কাঁটা
ও তুই       রক্তমাখা চরণতলে        একলা দলো রে॥
যদি        আলো না ধরে,       ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি        ঝড়-বাদলে আঁধার রাতে        দুয়ার দেয় ঘরে—
                   তবে        বজ্রানলে
আপন        বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে        একলা জ্বলো রে॥

তোমাকে দেখাবো নায়াগ্রা - চন্দ্রবিন্দু


তোমাকে দেখাবো নায়াগ্রা তোমাকে শেখাবো ভায়াগ্রা
তোমাকে করবো আদর-আত্তি-যত্নম
ওগো ত্বমসি মম জীবনং, ত্বমসি মম ভূষণং
ত্বমসি মম ভব জলধি রত্নম।।
তোমাকে শোনাবো জয় গোঁসাই, তোমার বাবাকে মেসোমশাই
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
আরে, আজি এ পরাণে রবির কর কেমনে জাগালো ডাইনোসর
হাউমাউ বেগে দেখি প্রিয়া মুখচন্দা!
দারুণ কাটলে ছোট্ট চুল, বোতাম আঁটতে করছো ভুল
সরু সংসারে কেমন ফুটিলে উদারা
স্মারগারলা খাণ্ডনাং ত্বম শিরসি মাণ্ডানাং
দেবী দেহিপদপল্লবমুদারম্‌।
তোমার জন্য চিন্তা হয়, তুমি তো প্রীতি জিন্টা নয়
টুপুর টাপুর কারিনা কাপুর চেষ্টা
তবু, তুমি আমার সিপিএম তুমি আমার এটিএম
তুমি আমার সিরিজ প্রেমের শেষটা।
খাচ্ছি কিন্তু গিলছি কই, পাখার রাজ্যে চুল শুকোই
টাকের মধ্যে পেরজাপতি ফড়ফড়িং
সোনা, বড্ড বেশি ঝলমলাও, লিফটে ওঠো একতলায়
বিটল্‌স ছাড়া অন্য পোকা খুব বোরিং!
তুমি শ্যামলা বঙ্গদেশ তুমি ইন্দো এসএমএস
তুমি অং বং ভব জলধি নুলিয়া
বধূ, চক্ষে এসো অন্ধ হোক, কক্ষে এসো নিন্দে হোক
বক্ষে এসো গীতগোবিন্দ ভুলিয়া।।

স্বপ্নগুলো তোমার মতো - সুমন / আনিলা

তুমি মানে তোমার চলে যাওয়া
তোমার জন্য সব ভুলে থাকা
জীবন মানে বাঁচার অভিনয়
মৃত্যু মানে তোমায় না পাবার ভয়

তোমার আশা কতটা কাছে টানে
আমার ছায়া যতটা আঁধার আনে
কাঁচের দেয়াল ভাঙার মত
তোমায় ভাঙি ইচ্ছে মত
আমার কেন ভালো লাগে না
কোন কিছু তোমার মত

যখন তুমি একা থাকো
আগুন জ্বলে আলোর মতন
নিজের কাছেই লুকিয়ে রাখি
স্বপ্নগুলো তোমার মত

আমার শরীর জুড়ে বৃষ্টি নামে
অভিমানের নদীর তীরে
শুধু তোমায় বলতে ভালবাসি
আমি বারেবার আসবো ফিরে

আমার শরীর জুড়ে বৃষ্টি নামে
অভিমানের নদীর তীরে
শুধু তোমায় বলতে ভালবাসি
আমি বারেবার আসবো ফিরে
 

গায়ক: সুমন / আনিলা
অ্যালবাম - স্বপ্নগুলো তোমার মত / এখন আমি