Friday, September 21, 2012

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী - দেশাত্মবোধক গান


আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি।।
ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু
গড়ায়ে ফেব্রুয়ারী।।
আমার সোনার দেশের
রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী।।
জাগো নাগিনীরা জাগো নাগিনীরা জাগো কালবোশেখীরা
শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা,
দেশের সোনার ছেলে খুন করে রোখে মানুষের দাবী
দিন বদলের ক্রান্তিলগ্নে তবু তোরা পার পাবি?
না, না, না, না খুন রাঙা ইতিহাসে শেষ রায় দেওয়া তারই
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।
সেদিনও এমনি নীল গগনের বসনে শীতের শেষে
রাত জাগা চাঁদ চুমো খেয়েছিল হেসে;
পথে পথে ফোটে রজনীগন্ধা অলকনন্দা যেন,
এমন সময় ঝড় এলো এক ঝড় এলো খ্যাপা বুনো।।
সেই আঁধারের পশুদের মুখ চেনা,
তাহাদের তরে মায়ের, বোনের, ভায়ের চরম ঘৃণা
ওরা গুলি ছোঁড়ে এদেশের প্রাণে দেশের দাবীকে রোখে
ওদের ঘৃণ্য পদাঘাত এই সারা বাংলার বুকে
ওরা এদেশের নয়,
দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয়
ওরা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শান্তি নিয়েছে কাড়ি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।
তুমি আজ জাগো তুমি আজ জাগো একুশে ফেব্রুয়ারি
আজো জালিমের কারাগারে মরে বীর ছেলে বীর নারী
আমার শহীদ ভায়ের আত্মা ডাকে
জাগো মানুষের সুপ্ত শক্তি হাটে মাঠে ঘাটে বাটে
দারুণ ক্রোধের আগুনে আবার জ্বালবো ফেব্রুয়ারি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।

মন তোরে পারলাম না বুঝাইতে রে - প্রচলিত


মন তোরে পারলাম না বুঝাইতে রে
দয়াল তুই সে আমার মন৷
তিন তক্তার এই নৌকাখানি রে দয়াল
বায়ে নায়ে চুয়ায় পানি
ও আমি কি দিয়া সেচিব নৌকার পানি রে
দয়াল তুই সে আমার মন৷
আমি সোনা দিয়া বান্ধাইলাম ঘর রে দয়াল
ঘুণে হইলো সেই ঘর জরজর
ও এক দিন সে ঘর ছাড়িয়া ময়না উইড়া যাবে রে
দয়াল তুই সে আমার মন৷
আমি স্বপন দেইখ্যা আইলাম ভবে তে রে দয়াল
ভুইল্যা রইলাম মিছাই লোভে
ও আমার সেই স্বপন কি মিথ্যা হইতে পারে রে
দয়াল তুই সে আমার মন৷
মন তোরে পারলাম না বুঝাইতে রে
দয়াল তুই সে আমার মন৷

গান গাই আমার মনরে বুঝাই - শাহ আবদুল করিম


গান গাই আমার মনরে বুঝাই
মন থাকে পাগলপারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

গানে বন্ধুরে ডাকি গানে প্রেমের ছবি আঁকি
পাব বলে আশা রাখি না পাইলে যাব মারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

গান আমার জপমালা গানে খুলে প্রেমের তালা
প্রাণ বন্ধু চিকন কালা অন্তরে দেয় ইশারা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

ভাবে করিম দ্বীনহীন আসবে কি আর শুভদিন
জল ছাড়া কি বাঁচিবে মীন ডুবলে কি ভাসে মরা
আর কিছু চায়না মনে গান ছাড়া ।।

বন্ধে মায়া লাগাইছে - শাহ আবদুল করিম


বন্ধে মায়া লাগাইছে,পিরিতি শিখাইছে
দেওয়ানা বানাইছে
কি যাদু করিয়া বন্ধে,মায়া লাগাইছে।

বসে ভাবি নিরালায়
আগেতো জানিনা বন্ধের পিরিতের জালায়
যেমন ইটের ভাটায় কয়লা দিয়া আগুন জালাইছে।

আমি কি বলিব আর
বিচ্ছেদের আগুনে পুড়ে কলিজা আঙ্গার
প্রান বন্ধের পিরিতের নেশায় কুলমান গেছে।

বাউল আব্দুল করিম গায়
ভুলিতে পারিনা আমার মনে যারে চায়
কুলনাশা পিরিতের নেশায় কুলমান গেছে।

আমি কুলহারা কলঙ্কিনী - শাহ আবদুল করিম


আমি কুলহারা কলঙ্কিনী
আমারে কেউ ছুঁইয়ো না গো সজনী
আমারে কেউ ছুঁইয়ো না গো সজনী

প্রেম করে প্রাণবন্ধুর সনে
যে দুঃখ পেয়েছি মনে
আমার কেঁদে যায় দিন-রজনী
আমারে কেউ ছুঁইয়ো না গো সজনী
আমি কুলহারা কলঙ্কিনী
আমারে কেউ ছুঁইয়ো না গো সজনী

প্রেম করা যে স্বর্গের খেলা
বিচ্ছেদে হয় নরক জ্বালা
আমার মন জানে, আমি জানি
আমারে কেউ ছুঁইয়ো না গো সজনী
আমি কুলহারা কলঙ্কিনী
আমারে কেউ ছুঁইয়ো না গো সজনী

সখি আমায় উপায় বলনা?
এ জীবনে দূর হলনা
বাউল করিমের পেরেশানি
আমারে কেউ ছুঁইয়ো না গো সজনী
আমি কুলহারা কলঙ্কিনী
আমারে কেউ ছুঁইয়ো না গো সজনী

যদি কোনদিন - অর্থহীন


যদি কোন দিন হঠাৎ করে পড়ে মনে
আমার লেখা গানগুলো যা ছিল তোমার জন্যে,
যদি ভুলের বশে শুনতে ইচ্ছে করে
আমার গাওয়া গানগুলো যা ছিল তোমায় নিয়ে।

নিঝুম রাতে যখন পৃথিবী ঘুমিয়ে
তুমি মনের ভেতর শুনো গান চুপটি করে,
কেউ জানবে না যে ঘুমন্ত শহরে
তুমি ভাবছো বসে আমার কথা প্রতিটি মূর্হুতে।

আকশে তারা হয়ে দেব তোমায় আলো
যখন চারিদিক অমাবস্যায় কালো,
যদি মনের দুচোখ বেয়ে আসে চোখের জল
মুছে দেব শুধু স্মৃতি হয়ে মনের কষ্ট সব।

নিঝুম রাতে যখন পৃথিবী ঘুমিয়ে
তুমি মনের ভেতর শুনো গান চুপটি করে,
কোন এক সকালে কোন দূরদেশে
তুমি দেখবে আমার পায়ের চিহ্ন ঐ শুভ্র তুষারে।

আসবো ফিরে
তোমার কাছে,
চোখের ঐ জল
মুছে দিতে।

নিঝুম রাতে যখন পৃথিবী ঘুমিয়ে
তুমি মনের ভেতর শুনো গান চুপটি করে,
কেউ জানবে না যে ঘুমন্ত শহরে
তুমি ভাবছো বসে আমার কথা প্রতিটি মূর্হুতে।

আসবো ফিরে
তোমার কাছে,
চোখের ঐ জল
মুছে দিতে।

আসবো ফিরে
তোমার কাছে,
চোখের ঐ জল
মুছে দিতে।

মন গিয়েছে মনের ঘর - নীল দত্ত


মন গিয়েছে মনের ঘর,
রাত্রি খোঁজে স্বয়ম্বর,
জলের বুকে চাঁদ ভেঙে যায় অনর্গল |

আয়না শহর পরবাস,
আঙ্গুল ফাঁকে স্মৃতির ঘাস,
অন্য আকাশ উড়াল নিল পাখির দল |

দেখো এই আঁচলে টুকরো ঝিনুক খামখেয়াল ;
এই পকেটে ফুলের শরীর অল্প লাল ;
শিরশিরিয়ে সুর বয়ে যায় আনমনে |

পথ নিয়েহে হঠাৎ বাঁক,
এই কুয়াশায় আঁকছে কাকে !
সেও কি আমার ভীষণ চেনা ছলাৎ-ছল |

ইছে গেল গুলমহলের চৌকাঠে,
আদর হাঁটে মন কেমনের পথ ঘাটে,
চেনা মেঘের বৃষ্টি এলো স্নানের কিনারায় |

সে মুখ ছিল নাগাল ভয়,
সেই বাতাসে ভেতর ঘরে,
নরম পালক বিছিয়ে যেত রঙ-রঙিন |

হয়তো আছি দিনের দিনের পথ চিনে,
হয়তো  নেব দমকা হওয়ার গান গাওয়া,
দূরের পাখি বলছে নাকি নরম ঠিকানায় |

রাতের বাগান চুপ তাকায়,
জ্যোৎস্না গুঁড়ো জানতে চায়,
মায়ার খবর তৈরী হল সংগোপন


______________________

মুভীঃ ক্রস কানেকশন
কম্পোজ এবং ভোকালঃ নীল দত্ত
গীতিকারঃ চন্দ্রীল ভট্টাচার্য



Monday, July 2, 2012

আজ রাতে কোন রূপকথা নেই - ওন্ড স্কুল

চাঁদ মামা আজ বড্ড একা বড় হয়েছি আমি,
রোজ রাতে আর হয়না কথা,
হয়না নেওয়া হামি।।

রোজ রাতে আর চাদের বুড়ি কাটেনা চরকা রোজ,
ও বুড়ি তুই আছিস কেমন? হয়না নেয়া খোঁজ

কোথায় গেল সেই রূপকথার রাত হাজার গল্প শোনা
রাজার কুমার কোটালকুমার পক্ষীরাজ
সে ঘোড়া,
কেড়ে নিলো কে সে আজব সময়
আমার কাজলা দিদি
কে রে তুই কোন দৈত্য দানব
সব যে কেড়ে নিলি..

কে রে তুই? কে রে তুই??
সব সহজ শৈশব কে বদলে দিলি
কিছু যান্ত্রিক বর্জ্যে
তুই কে রে তুই??
যত বিষাক্ত প্রলোভনে আমায় ঠেলে দিলি
কোন এক ভুল স্রোতে..

আলাদিন আর যাদুর জিন আমায় ডাকছে শোনো
ব্যস্ত আমি ভীষণ রকম সময় তো নেই কোন

আলিবাবার দরজা খোলা চল্লিশ চোর এলে
সিন্দাবাদটা একলা বসে আছে সাগর তীরে
সময়টা আজ কেমন যেন বড় হয়ে গেছি আমি
তারা গুলো আজ ও মেঘের আড়াল কোথায় গিয়ে নামি..

কেড়ে নিলো কে সে আজব সময়
আমার কাজলা দিদি
কে রে তুই কোন দৈত্য দানব
সব যে কেড়ে নিলি..

কে রে তুই? কে রে তুই??
সব সহজ শৈশব কে বদলে দিলি
কিছু যান্ত্রিক বর্জ্যে
তুই কে রে তুই??
যত বিষাক্ত প্রলোভনে আমায় ঠেলে দিলি
কোন এক ভুল স্রোতে..

Saturday, June 30, 2012

জলফড়িং - শিলাজিৎ মূর্খাজী (মুভিঃ হেমলক সোসাইটি)

তুই চিরদিন তোর দরজা খোলে থাকিস ,
অবাধ আনাগোনার হিসেব কেনো রাখিস ?
সাক্ষাত আলাদিন, তোর প্রদীপ ভরা জ্বীনে ,
কেনো খুঁজতে যাস আমায় সাজানো ম্যাগাজিন ? 
ভেজা রেলগাড়ি, হয়তো সবুজ ছুঁয়ে ফেলে ,
আর সারাটা পথ ভীষণ খামখেয়ালে চলে ।

তারপর বেরোয় মেঘের তারায় ভরা স্টেশন , 
একটু থামতে চায় প্রেমিকের inspiration !

তোর এই সকাল ঘুম কেড়ে নিতে পারি ,
তোর এই বিকেল ঘুড়ি ছিঁড়ে দিতে পারি ,
তোকে আলোর আলপিন দিতে পারি,
তোকে বসন্তের দিন দিতে পারি ,
আমাকে খুঁজে দে জলফড়িং! 

ছুঁড়ে ফেলে দে তোর গল্প বলা ঘড়ি , 
শুন্যে খুরোর কল সব মিথ্যে আহামরি ,
একটু শুনতে চাই , তোর পাজরভাঙ্গা চিৎকার ..
অন্য গানের সুর ,তোর অদ্ভুত এই অহংকার ।


তোর এই সকাল ঘুম কেড়ে নিতে পারি ,
তোর এই বিকেল ঘুঁড়ি ছিঁড়ে দিতে পারি ,
তোকে আলোর আলপিন দিতে পারি ,
তোকে বসন্তের দিন দিতে পারি,
আমাকে খুঁজে দে জলফড়িং ! 

Friday, June 15, 2012

এখন অনেক রাত – অনুপম রায় (মুভিঃ হেমলক সোসাইটি)


এখন অনেক রাত
তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস,
আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায়..

ছুঁয়ে দিলে হাত,
আমার বৃদ্ধ বুকে
তোমার মাথা চেঁপে ধরে
ডলছি কেমন নেশায়!

কেন যে অসংকোচে অন্ধ গানের কলি
পাখার ব্লেডের তালে সোজাসুজি কথা বলি!
আমি ভাবতে পারিনি, তুমি বুকের ভেতর
ফাঁটছো আমার শরীর জুড়ে তোমার প্রেমের বীজ!

আমি থামতে পারিনি, তোমার গালের নরম
দুঃখ আমায় দুহাত দিয়ে মুছতে দিও Please!

তোমার গানের সুর, আমার পকেট ভরা সত্য-মিথ্যা
রেখে দিলাম তোমার ব্যাগের নীলে,
জানি তর্কে বহুদূর,
তাও আমায় তুমি আঁকড়ে ধরো,
আমার ভেতর বাড়ছো তিলে তিলে

কেন যে অসংকোচে অন্ধ গানের কলি
পাখার ব্লেডের তালে সোজাসুজি কথা বলি!
আমি ভাবতে পারিনি, তুমি বুকের ভেতর
ফাঁটছো আমার শরীর জুড়ে তোমার প্রেমের বীজ!

আমি থামতে পারিনি, তোমার গালের নরম
দুঃখ আমায় দুহাত দিয়ে মুছতে দিও Please!

এখন অনেক রাত
তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস,
আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায়..

ছুঁয়ে দিলে হাত,
আমার বৃদ্ধ বুকে
তোমার মাথা চেঁপে ধরে
ডলছি কেমন নেশায়!

এখন অনেক রাত
তোমার কাঁধে আমার নিঃশ্বাস,
আমি বেঁচে আছি তোমার ভালোবাসায়.. ভালোবাসায়..

Sunday, June 10, 2012

বিজলিবাতি – অনুপম রায়


আমার দিন ফুরালে বিজলি বাতি,
কলম খোঁচায় গল্প পাতি,
তোমার শব্দে মাতামাতি,
মেঝেয় পিঁপড়ের চড়ুইভাতি।।

১)       বাইরের ঘরে, আগুন গিলছে প্রাচীন ভুত,
প্রলাপ বকছে চীনের রাষ্ট্রদূত-
টিভির পর্দায় সব কিছুই প্রস্তুত।

আমার বইয়ের তাকে জমছে ধুলো,
পথ হারাচ্ছে শব্দগুলো,
হঠাৎ তোমার কপাল ছুঁলো,
নাড়লে কড়া দরজা খুলো।।

২)       হাল্কা পায়ে, ভাঙছে সিঁড়ি তোমার গান,
চামচ মাপছে চিনির পরিমান-
দেওয়ালে ঝুলছে আমার অভিমান।

Saturday, June 9, 2012

তিস্তান - অনুপম রায়


পাঁচ টাকা দিয়ে দিনের শুরু, ষোল টাকা দিয়ে শেষ
তিন টাকা দিয়ে মুক্তি কিনে হবো নিরুদ্দেশ।।

তখন কেন হাত বাড়ালে? এখন কেন চুপ?
তখন কেন জ্বাললে আলো? এখন কেন ধূপ?
আর এখন তুমি নিচ্ছো অন্যরূপ।।

আর এখন almost পাগল এ মন
বিষ পানে অভ্যস্ত এ জীবন
শূন্য দু’হাত, আবার চাইছে
ফিরিয়ে নিয়ে চলো..
তিস্তানে, তিস্তানে, তিস্তানে।।

মাসটা যখন ফুরিয়ে যাবে, ওরা দেবে অনেক টাকা;
তবু মাসের শেষে মনে হবে, ভেতরটা খুব ফাঁকা।

সময় যখন আটকে রাখবে সময় চলবেনা
যখন সময় অনেক দরকার সময় থাকবেনা
তখন সময় তোমার পাশে নেই

আর এখন almost পাগল এ মন
বিষ পানে অভ্যস্ত এ জীবন
শূন্য দু’হাত আবার চাইছে
ফিরিয়ে নিয়ে চলো..
তিস্তানে, তিস্তানে, তিস্তানে।।

যখন বলেছিলাম আমি চলে যাবো, তখন কেন কাঁদোনি?
একের পর এক ভুল করেছি, তবু কেন আটকাওনি?
যতক্ষণ তুমি জিতেছো, প্রত্যেকটা মানুষ তোমার সাথে
তুমি একবার হেরে যাও, আর কেউ নেই তোমার পাশে! 

Saturday, June 2, 2012

মায়াবন বিহারিণী - সোমলতা (মুভি: বেডরুম)

(২ বার)
মায়বন বিহারিনী হরিণী
গহন স্বপন সঞ্চারিনী

কেন তারে ধরিবারে করি পন
অকারণ
মায়াবন বিহারিনী

(২ বার)
থাক থাক নিজ মনে দূরেতে
আমি শুধু বাসরীর সুরেতে

পরশ করিব ওর তন মন
অকারণ
মায়াবন বিহারিনী

চমকিবে ফাগুনেরো পবনে
বসিবে আকাশবাণী শ্রবনে
চমকিবে ফাগুনেরো পবনে
চিত্ত আগুনে হবে অনুভব
অকারণ

(২ বার)
দূর হতে আমি তারে সাধিব
গোপনে বিরহডোরে বাধিব

বাধনবিহীন সেই যে বাধন
অকারণ
মায়াবন বিহারিনী

মায়বন বিহারিনী হরিণী
গহন স্বপন সঞ্চারিনী
কেন তারে ধরিবারে করি পন
অকারণ
(৬ বার)
মায়াবন বিহারিনী

Friday, June 1, 2012

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে - রবীন্দ্র সংগীত

যদি তোর       ডাক শুনে কেউ না আসে       তবে       একলা চলো রে।
একলা চলো,       একলা চলো,       একলা চলো,       একলা চলো রে॥
যদি       কেউ কথা না কয়,       ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি       সবাই থাকে মুখ ফিরায়ে       সবাই করে ভয়—
                   তবে        পরান খুলে
ও তুই       মুখ ফুটে তোর মনের কথা        একলা বলো রে॥
যদি        সবাই ফিরে যায়      , ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি        গহন পথে যাবার কালে কেউ ফিরে না চায়—
                   তবে        পথের কাঁটা
ও তুই       রক্তমাখা চরণতলে        একলা দলো রে॥
যদি        আলো না ধরে,       ওরে ওরে ও অভাগা,
যদি        ঝড়-বাদলে আঁধার রাতে        দুয়ার দেয় ঘরে—
                   তবে        বজ্রানলে
আপন        বুকের পাঁজর জ্বালিয়ে নিয়ে        একলা জ্বলো রে॥

তোমাকে দেখাবো নায়াগ্রা - চন্দ্রবিন্দু


তোমাকে দেখাবো নায়াগ্রা তোমাকে শেখাবো ভায়াগ্রা
তোমাকে করবো আদর-আত্তি-যত্নম
ওগো ত্বমসি মম জীবনং, ত্বমসি মম ভূষণং
ত্বমসি মম ভব জলধি রত্নম।।
তোমাকে শোনাবো জয় গোঁসাই, তোমার বাবাকে মেসোমশাই
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
আরে, আজি এ পরাণে রবির কর কেমনে জাগালো ডাইনোসর
হাউমাউ বেগে দেখি প্রিয়া মুখচন্দা!
দারুণ কাটলে ছোট্ট চুল, বোতাম আঁটতে করছো ভুল
সরু সংসারে কেমন ফুটিলে উদারা
স্মারগারলা খাণ্ডনাং ত্বম শিরসি মাণ্ডানাং
দেবী দেহিপদপল্লবমুদারম্‌।
তোমার জন্য চিন্তা হয়, তুমি তো প্রীতি জিন্টা নয়
টুপুর টাপুর কারিনা কাপুর চেষ্টা
তবু, তুমি আমার সিপিএম তুমি আমার এটিএম
তুমি আমার সিরিজ প্রেমের শেষটা।
খাচ্ছি কিন্তু গিলছি কই, পাখার রাজ্যে চুল শুকোই
টাকের মধ্যে পেরজাপতি ফড়ফড়িং
সোনা, বড্ড বেশি ঝলমলাও, লিফটে ওঠো একতলায়
বিটল্‌স ছাড়া অন্য পোকা খুব বোরিং!
তুমি শ্যামলা বঙ্গদেশ তুমি ইন্দো এসএমএস
তুমি অং বং ভব জলধি নুলিয়া
বধূ, চক্ষে এসো অন্ধ হোক, কক্ষে এসো নিন্দে হোক
বক্ষে এসো গীতগোবিন্দ ভুলিয়া।।

স্বপ্নগুলো তোমার মতো - সুমন / আনিলা

তুমি মানে তোমার চলে যাওয়া
তোমার জন্য সব ভুলে থাকা
জীবন মানে বাঁচার অভিনয়
মৃত্যু মানে তোমায় না পাবার ভয়

তোমার আশা কতটা কাছে টানে
আমার ছায়া যতটা আঁধার আনে
কাঁচের দেয়াল ভাঙার মত
তোমায় ভাঙি ইচ্ছে মত
আমার কেন ভালো লাগে না
কোন কিছু তোমার মত

যখন তুমি একা থাকো
আগুন জ্বলে আলোর মতন
নিজের কাছেই লুকিয়ে রাখি
স্বপ্নগুলো তোমার মত

আমার শরীর জুড়ে বৃষ্টি নামে
অভিমানের নদীর তীরে
শুধু তোমায় বলতে ভালবাসি
আমি বারেবার আসবো ফিরে

আমার শরীর জুড়ে বৃষ্টি নামে
অভিমানের নদীর তীরে
শুধু তোমায় বলতে ভালবাসি
আমি বারেবার আসবো ফিরে
 

গায়ক: সুমন / আনিলা
অ্যালবাম - স্বপ্নগুলো তোমার মত / এখন আমি

Friday, May 4, 2012

কেন দূরে থাকো - শ্রীকান্ত আচার্য

কেন দূরে থাকো
শুধু আড়াল রাখো
কে তুমি কে তুমি আমায় ডাকো 
কেন দূরে থাকো? 

মনে হয় তবু বারে বারে
এই বুঝি এলে মোর দ্বারে 
সে মধুর স্বপ্ন ভেঙ্গো নাকো
কেন দূরে থাকো
শুধু আড়াল রাখো
কে তুমি কে তুমি আমায় ডাকো
কেন দূরে থাকো? 

ভাবে মাধবী সুরভী তার বিলায়ে
যাবে মধুদের সুরে সুরে মিলায়ে 

তোমারি খেয়ালে ক্ষনে ক্ষনে
কত কথা জাগে মোর মনে 
চোখে মোর ফাগুনের ছবিটি আঁকো
কেন দূরে থাকো
শুধু আড়াল রাখো
কে তুমি কে তুমি আমায় ডাকো
কেন দূরে থাকো??

Tuesday, May 1, 2012

মায়াবন বিহারিনী - সোমলতা (মুভি: বেডরুম)

(২ বার)
মায়বন বিহারিনী হরিণী
গহন স্বপন সঞ্চারিনী

কেন তারে ধরিবারে করি পন
অকারণ
মায়াবন বিহারিনী

(২ বার)
থাক থাক নিজ মনে দূরেতে
আমি শুধু বাসরীর সুরেতে

পরশ করিব ওর তন মন
অকারণ
মায়াবন বিহারিনী

চমকিবে ফাগুনেরো পবনে
বসিবে আকাশবাণী শ্রবনে
চমকিবে ফাগুনেরো পবনে
চিত্ত আগুনে হবে অনুভব
অকারণ

(২ বার)
দূর হতে আমি তারে সাধিব
গোপনে বিরহডোরে বাধিব

বাধনবিহীন সেই যে বাধন
অকারণ
মায়াবন বিহারিনী

মায়বন বিহারিনী হরিণী
গহন স্বপন সঞ্চারিনী
কেন তারে ধরিবারে করি পন
অকারণ
(৬ বার)
মায়াবন বিহারিনী

Monday, April 30, 2012

বৃত্তালপনা - তাহসান


জীবনের আলাপন, কত যে মায়া
শত মানুষের ভিড়ে তোমায় পাওয়া
বলেছিলাম ভালোবাসা চাই

ভালোবাসিনা আমি তোমাকে, বলেছিলাম...
ভালোবাসিনা আমি তোমাকে, কখনো না,
ভালোবাসিনা আমি তোমাকে, স্বপ্ন দেখে যাও
ভালোবাসিনা আমি তোমাকে, একদমই না,
তুমি আমার কে?

ভালোবাসোনা তুমি আমাকে কেন?
ভালোবাসোনা তুমি আমাকে, হয়তো একটু
ভালোবেসোনা তুমি আমাকে, আর কখনো চাইবোনা
ভালোবেসোনা তুমি আমাকে, একদমই না,
আমি তোমার কে?

আজ তুমি বড়ই আমার আপন
আমার পৃথিবী আজ তোমার হাতে
তোমার চোখের ভাষায় বুঝে নেব

ভালোবাসি শুধু তোমাকে আমি,
ভালোবাসি শুধু তোমাকে, তবু কখনো বলবো না
ভালোবাসি শুধু তোমাকে, শুধু যে তোমায়
ভালোবাসি শুধু তোমাকে, কখনো বুঝবে না
আমি তোমার যে...

Sunday, April 8, 2012

চোখের জল কিংবা পানি, সেতো নোনতাই থেকে যায়ঃ অঞ্জন দত্ত


বাংলাদেশে অনুষ্ঠান করতে যাই।ফিরে এসে সেই ছোট্ট প্রাণবন্ত দেশটাকে নিয়ে কিছু গান লিখি, আমার বাংলাদেশের শ্রোতাদের জন্য।তার মধ্যে এই গানটা মনে হয় আমার এই বাংলার কিছু মানুষের হয়তো খারাপ লাগবেনা।





বেইলী রোডের ধারে, আমি দেখেছি তোমায়
রাতের অন্ধকারে, আমি দেখেছি তোমায়
আমার বউ বাজারে,আমি দেখেছি তোমায়
দু'দিকের কাঁটা তারে আমি দেখেছি তোমায়


এখানে তুমি হাসি মল্লিক,ওখানে হাসিনা
এখানে তোমার দাম পঞ্চাশ, ওখানে কত জানিনা
নিয়ন আলোয় ঝলসে যাওয়া দুটো শহরের রাত
বেঁচে থাকার জন্য কেনা বেচার দুটো হাত
ডলারের হার কমলে, তাদের দর বদলায়
চোখের জল কিংবা পানি, সেতো নোনতাই থেকে যায়।


কারো খদ্দের টয়োটা চড়ে, কারোর মারুতি জেন
কারো চোখে দিশি নেশা, কারোর ফরেন
তবু চাহিদা সেতো একটাই, একটুখানি সুখ
তাই একই ভাবে লাঞ্ছিত হয় দুটি দেশের মুখ
তবু আবার সকাল আসে, ওরা স্নান করে যায়
দুজনেই মনে মনে, বাংলায় গান গায়।
ডলারের হার কমলে, তাদের দর বদলায়
চোখের জল কিংবা পানি, সেতো নোনতাই থেকে যায়।


এখানে ঘোলাটে গঙ্গার জল, ওখানে ইছামতি
নোংরা নষ্ট, হাজার কষ্ট তবু বয়ে চলে ঠিকই
চেপে রাখা ক্ষত,যত যত হাহাকার
বিশ্বের কাছে দেনার দায়ে লাঞ্ছিত বারবার
তবু আবার রঙ চাপিয়ে,দাঁড়াতেই হয়
বেঁচে থাকার জন্য, বিশ্বের রাস্তায়।
ডলারের হার কমলে, দেশের দর বদলায়
চোখের জল কিংবা পানি, সেতো নোনতাই থেকে যায়

কাঞ্চনজঙ্ঘা - অঞ্জন দত্ত

একটু ভালোকরে বাঁচবো বলে আর
একটু বেশি রোজগার
ছাড়লাম ঘর আমি
ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড় ।

পারলোনা কিছুতেই তোমার কলকাতা
আমাকে ভুলিয়ে দিতে
পাহাড়ী রাস্তার ধারের বস্তির
আমার কাঞ্চনকে.....
কাঞ্চন জানা, কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজঙ্ঘা , কাঞ্চন মন ।
তো পাইলে সোনা ........
হনু হইয়্যো... ম উল্লা
ভাংচু কাঞ্চন ।

সোনার খোঁজে কেউ
কত দূর দেশে যায়
আমি কলকাতায়,
সোনার স্বপ্ন খুঁজে ফিরি একা একা
তোমাদের ধর্মতলায়।
রাত্তির নেমে এলে তিন'শ বছরের
সিমেন্টের জঙ্গলে
ফিরে চলে যাই সেই
পাহাড়ী বস্তির কাঞ্চনের কোলে ।
জং ধরা রং চটা পার্কের বেঞ্চিটা
আমার বিছানা ।
কখন যে তুলে নিয়ে গিয়েছিল আমাকে
তোমাদের থানা ।
তিন মাস জেল খেটে
এখন আমি সেই থানার দারোয়ান
পারবোনা ফিরে পেতে হয়তো কোনদিন
আমার সেই কাঞ্চন.......
কাঞ্চন জানা, কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজঙ্ঘা,কাঞ্চন মন ।
তো পাইলে সোনা ........
হনু হইয়্যো... ম উল্লা
ভাংচু কাঞ্চন ।

বেড়াতে যদি তুমি যাও কোনদিন
আমার ক্যালিম্পং
মনেরেখ শংকর হোটেলের ভাড়া
ট্যুরিস্ট লজের চেয়ে কম
রাত্তির নেমে এলে আসবে
তোমার ঘরে চুল্লিটা জ্বালিয়ে দিতে
আর কেউ নয় সে যে আমার ফেলে আসা
নীলচে পাহাড়ের মেয়ে,
বলোনা তাকে আমি দারোয়ান
শুধু বলো করছি ভালোই রোজগার
ঐ বস্তির ড্রাইভার চীগমীর সাথে
যেন বেঁধে না ফেলে সংসার
আর কিছু টাকা আমি জমাতে পারলে যাব যাব ফিরে
পাহাড়ী রাস্তার ধারের বস্তির আমার নিজের ঘরে ।

আর যদি দেখ তার কপালে সিঁদুর
বলোনা কিছুই তাকে আর
শুধু এই সত্তর টাকা
তুমি যদি পার গুঁজে দিও হাতে তার ।
ট্রেনের টিকিটের ভাড়াটা সে দিয়েছিল
কানের মাঁকড়ি বেচে
ভালোবাসার সেই দাম তুমি দিয়ে দিও
আমার কাঞ্চনকে ......
কাঞ্চন জানা, কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজঙ্ঘা, কাঞ্চন মন ।
তুমি যাকে বল সোনা
আমি তাকে বলি কাঞ্চন......
কাঞ্চন জানা, কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজঙ্ঘা, কাঞ্চন মন ।
তো পাইলে সোনা ........
হনু হইয়্যো... ম উল্লা
ভাংচু কাঞ্চন ।